সর্বশেষ ০৭ মে ২০২৫ মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রনালয় প্রকাশিত সংবাদ ( muktijuddha news bangladesh)sainiktvnews

সর্বশেষ ০৭ মে ২০২৫ মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রনালয় প্রকাশিত সংবাদ ( muktijuddha news bangladesh)sainiktvnews

সর্বশেষ ০৭ মে ২০২৫ মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রনালয় প্রকাশিত সংবাদ ( muktijuddha news bangladesh)sainiktvnews


বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম সরকার আ’লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার - হাসান উদ্দিন সরকার।

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকান্ডে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম সরকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা ন্যায় বিচারের স্বার্থে এ হত্যাকাণ্ডের পুন:তদন্ত দাবি করেছেন। বক্তারা বলেন, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ড ছিলো আওয়ামী লীগের দলীয় অভ্যন্তরীন কোন্দলের জের।


কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডকে পূঁজি করে আওয়ামী লীগ তাদের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চেয়েছিলো। দেশব্যাপী পরিকল্পিতভাবে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে তৎকালীন চার দলীয় জোট সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত এবং শিল্প শহর টঙ্গীতে ঐতিহ্যবাহী সরকার পরিবারের প্রভাব খর্ব করে এলাকার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ নিতে স্থানীয় বিএনপির জনপ্রিয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম সরকারকে পরিকল্পিতভাবে সাজানো সাক্ষীতে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আজ বুধবার (৭ মে) টঙ্গী প্রেসক্লাব আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘সূর্য পূর্ব আকাশে উদিত হয়ে পশ্চিম আকাশে অস্তমিত হয় যেমন চির সত্য, তেমনি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম সরকার আহাসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয় সত্য।’ প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্যে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম সরকারকে শোনা কথার সাক্ষীতে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে নজির বিহীন।’

বিশেষ আলোচক টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহ্বায়ক প্রবাষক বশির উদ্দিন বলেন, বিগত স্বৈরশাসক অবৈধভাবে বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তির আবেদন শুনানী করতে দেয়নি। বছরের পর বছর শুনানী স্থগিত রেখে তাকে কারাগারে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে।


টঙ্গী প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব মো. মেরাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি শেখ আজিজুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, টঙ্গী সচেতন নাগরিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম খান কালা, টঙ্গী থানা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আইয়ুব আলী, কারারুদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরল ইসলাম সরকারের ছেলে সরকার শাহানুর ইসলাম রনি, সাংবাদিক নেতা নাসির উদ্দিন বুলবুল, মোস্তফা আমীর ফয়সল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ উদ্দিন, শামসুল হক ভূইয়া, মহিউদ্দিন রিপন, মাহবুব চৌধুরী, সবুর খান, সাংবাদিক উন্নয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান শোভন‌, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন গাজীপুর দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল বারী চৌধুরী প্রমুখ।


উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গী নোয়াগাঁও স্কুল মাঠে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন আহসান উল্লাহ মাস্টার। এ মামলায় দল্ডপ্রাপ্ত আসামীদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো।সূত্র ইনকিলাব 


চাঁদপুরে মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা নিচ্ছেন তার স্ত্রী। 


চাঁদপুর শহরে সুজন তালুকদার নামে এক জীবিত মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে বছরের পর বছর রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য নগদ অর্থের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছেন প্রতারক স্ত্রী অসীমা তালুকদার। 

মঙ্গলবার (৬ মে) চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখার মোড়ের সোনালী ব্যাংক হতে সুজন তালুকদার নামে মৃত মুক্তিযোদ্ধার ভাতার তথ্য পাওয়া যায়। তথ্য নিশ্চিত করেন ব্যাংকটির সিনিয়র অফিসার মাহবুব আলম। 

সিনিয়র অফিসার মাহবুব আলম জানান, এখানে সুজন তালুকদারসহ মোট ৩৯৫ জন মৃত মুক্তিযোদ্ধার ওয়ারিশরা নিয়মিত ভাতা তুলছেন। যারা মাসে ২০ হাজার টাকা, এরসঙ্গে দুই ঈদে ১০ হাজার করে ঈদ ভাতা এবং বৈশাখী ভাতা হিসেবে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, সুজন তালুকদারের অর্থ একমাত্র ওয়ারিশ হিসেবে তার স্ত্রী অসীমা তালুকদার তুলছেন।

সরকারি ওয়েব সাইটে বীর মুক্তিযোদ্ধা তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে দেখা যায় সুজন তালুকদারের মুক্তিযোদ্ধার নম্বর হচ্ছে ০১১৩০০০১৬০২ এবং বেসামরিক গেজেট ৫৫ এবং লাল মুক্তিবার্তা ০২০৫০১০২৭০। তার বাবা মৃত হরে কৃষ্ণ তালুকদার এবং ঠিকানা হচ্ছে গ্রাম-৬৬, মেথা রোড, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর।

এ তথ্য অনুযায়ী সেখানে গেলে মুক্তিযোদ্ধা সুজন তালুকদারকে পাওয়া না গেলেও তার নিকট আত্মীয়দের পাওয়া যায়। মুক্তিযোদ্ধা সুজন তালুকদারের বৌদি কল্পনা তালুকদার জানান, মুক্তিযোদ্ধা সুজন তালুকদারকে মারধরসহ ভাড়া বাসায় বেঁধে রাখার খবর পাচ্ছেন। এ কাজ করছেন তার স্ত্রী। 


মুক্তিযোদ্ধা সুজন তালুকদারের ভাতিজি বিপাশা তালুকদার বলেন, কাগজে কলমে সুজন তালুকদারকে মেরে ফেলা হয়েছে। তাই তাকে বাসায় বন্দি করে রাখে।


সুজন তালুকদারের মিশন রোডের ভাড়া বাসায় গেলে সাংবাদিক দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। বৃদ্ধ সুজন তালুকদার বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী আমাকে এই খাটে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে, মারে। সবসময় ধমকায়।’’ 


স্বামীকে মৃত দেখানোর বিষয়ে স্ত্রী অসীমা তালুকদার বলেন, ‘‘আমি দ্রুত সুজনকে নিয়ে এ জেলা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবো। আমার বোন জামাই আছে ঢাকায় এবং মেয়ে ও তার স্বামীও আছে এক স্থানে। তারা অসুস্থ সুজনকে দেখভাল করবে।’’ এ সময় সুজন তালুকদারের সঞ্চিত অর্থের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সব টাকা তার চিকিৎসায় ব্যয় করেছেন।


চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন জানান, এই প্রতারণার তথ্য সঠিক হলে তদন্ত করে ভাতা বন্ধসহ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সূত্র রাইজিং বিডি 


চলে গেলেন সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নবীউর রহমান পিপলু।

নাটোরের সিনিয়র সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার নবীউর রহমান পিপলু ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার এ এম জেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।


নবীউর রহমান পিপলু দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি সাংবাদিকতায় সক্রিয় ছিলেন। তিনি একুশে টেলিভিশন ও দৈনিক সমকালের নাটোর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছিলেন।


জানা গেছে, নবীউর রহমান পিপলু কয়েক মাস ধরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজির বিভাগীয় প্রধান রক্তরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এম মুর্শেদ জামান মিঞার অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৪ মে গুরুতর অসুস্থ অবস্থা ঢাকায় ভর্তি হন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত সোমবার রাতে তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ সকালে তিনি মারা যান।


পিপলুর ছোট ভাই নাইমুর রহমান রনি বলেন, ‘বড় ভাই আজ সকাল সাড়ে ১০টায় এ এম জেড হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। বোনম্যারো-সংক্রান্ত জটিলতা ছিল তার। আমাদের ভাইদের মাঝে পিপলু ভাই সবার বড় ছিলেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী রয়েছেন। তাঁর কোনো সন্তান নেই। আমরাই ছিলাম তাঁর সন্তানের মতো। আজই তাঁকে নাটোরে নিয়ে নিজ গ্রামে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।’



জানা গেছে, সাংবাদিক নবীউর রহমান পিপলু ১৯৫৭ সালের ১০ জানুয়ারি বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আব্দুর রশিদের চাকরির সুবাদে তিনি সপরিবারে নাটোরে আসেন। ১৯৮১ সালে দৈনিক জনতা পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন নবীউর রহমান পিপলু। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। একুশে টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে শেষনিশ্বাস পর্যন্ত তিনি নাটোর প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি একুশে টেলিভিশন ও দৈনিক সমকালের নাটোর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।সূত্র আজকের পত্রিকা।

বাকেরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বসত ঘর ভাঙচুর ।


বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের সাদিস গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা বিধান কুমার দাসের বাড়িঘর ভাঙচুর করে দখল নেয়ার চেষ্টা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। মুক্তিযোদ্ধা বিধান কুমার দাস গত এক মাস আগে মৃত্যুবরণ করেন। কাঠ টিনের তৈরি ওই ঘরটিতে তার স্ত্রী বিথীকা রানী দাস বসবাস করে আসছেন। বিধান কুমার দাসের মৃত্যুর পরে থেকে প্রতিপক্ষরা ওই বাড়িটি দখলে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। 

মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ৯ টায় একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত হক খানের ছেলে খোকন খান, টুটুল খান ও মনির খানের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী বিধান কুমার দাসের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় বিধীকা রানী দাসের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। হামলা ঘটনার খবর পেয়ে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টুটুল ও সেলিম খান নামের দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।

ভুক্তভোগী বিথীকা রানী দাস জানান, কলসকাঠির বিধান কুমার দাসের পরিবার দীর্ঘ ৬০ বছর যাবত এই বাড়িতে বসবাস করে আসছে। গত ২ মে (শুক্রবার) স্থানীয় মৃত হক খানের ছেলে খোকন খান, টুটুল খান ও মনির খান আমাদের বাড়ির জমি তাদের ক্রায়কৃত সম্পত্তি দাবি করে ৪০-৫০ জনের ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে জোরপূর্বক সিমানা পিলার স্থাপন করে।


এই ঘটনায় আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশের মধ্যস্ততায় আগামী ২০ মে স্থানীয়ভাবে শালিস মীমাংসার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের দিন ধার্য্য করা হয়। তারা ওই শালিস মিমাংসাকে অগ্রাহ্য করে পুনরায় বাড়ি ভাঙচুর করে দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় আমি বাঁধা দিলে তারা আমার উপর অতর্কিত হামলাও চালায়। 


বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ভাঙচুর ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় দুইজন আসামি সকালবেলায় ঘটনা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সূত্র জনকন্ঠ 

মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন, এটি গ্লানিকর’।

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, যারা সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধা আছেন, তারা প্রতিনিয়ত বিব্রতবোধ করছেন। মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। এটি গ্লানিকর। এরই মধ্যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আমরা অনেক উদ্যোগ নিয়েছি।


১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে  বৃহস্পতিবার মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 


মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই আমবাগানে ঐতিহাসিক যে সরকার শপথগ্রহণ করেছিল, তা আমাদের জন্য এক বীরত্বগাঁথা অধ্যায়।


উপদেষ্টা বলেন, মুজিবনগর সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও সাংবিধানিক সরকার। এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সুসংগঠিত করেছে, আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গেও সংযোগ স্থাপন করেছে।



তিনি বলেন, তখনকার নির্বাচিত যে নেতারা ছিলেন, তারাই এই সরকার গঠন করেছেন। ১৭ এপ্রিল জাতির জন্য একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। আমরা গতকাল ফিরে যেতে পারব না। ইতিহাসের ওপর কোনো কিছু আরোপ করা যায় না।


মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এরং মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত মুজিবনগর দিবসে উপদেষ্টা বলেন, মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা বর্তমান সরকারের নেই। কারণ ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না। ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গায় রাখতে হয়।


তিনি বলেন, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে কী করবে এটি তাদের ব্যাপার। আমাদের অনেক গৌরবের বিষয় আছে, যেগুলো আমরা ইচ্ছে করে বিতর্কিত করতে চাই না। ইতিহাস অমোচনীয় থাকা উচিত।


তিনি বলেন, বিভিন্ন রকমের দুই হাজার সাতশর বেশি মামলা আছে। এসব মামলা নিষ্পত্তির প্রয়োজন আছে। আমরা আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি।


ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে গার্ড অব অনার ও জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুখ-ই-আজম, বীরপ্রতীক।


এ সময় ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিলের জাতীয় নেতাদের প্রতি সামরিক কায়দায় গার্ড অব দেন মেহেরপুরের ১২ আনসার সদস্য। জীবন সংগ্রামে হার না মানা দুই আনসার সদস্যকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এরপর মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপদেষ্টা।


সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টার সফরসঙ্গী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত জাহান, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানমসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।


পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স ও আম্রকাননের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।


মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ স্থানীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিশান সাবের মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করে অনুমতি পাননি।

সূত্র যুগান্তর 




নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম