জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় ইসলামী ঐক্য চান বাবুনগরী: জাতিসংঘ চুক্তি নিয়ে কঠোর সমালোচনা

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, সহিহ আকিদার ওপর প্রতিষ্ঠিত সব ইসলামিক দল ঐক্যবদ্ধ হলে তা দেশের জন্য সর্বোত্তম ফল বয়ে আনবে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে, বহুবার আহ্বান জানানোর পরও এখনো কাঙ্ক্ষিত ঐক্য বাস্তবায়ন হয়নি। শনিবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দাওয়াতুল ইহসান বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত এক উলামা সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশের মসজিদ-মাদ্রাসা, দাওয়াত-তাবলিগ, তাসাউফ-সুলুকের পরিবেশ যেন বিদেশি চাপ বা অভ্যন্তরীণ বিভাজনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ হওয়া সত্ত্বেও জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের চুক্তি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধের জন্য হুমকি। এজন্য তিনি এই চুক্তি বাতিলের দাবি জানান। দেশের বর্তমান জটিল বাস্তবতায় ইসলামি দলগুলোর ঐক্য রাষ্ট্র ও সমাজ রক্ষায় অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন। 

 

জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় ইসলামী ঐক্য চান বাবুনগরী: জাতিসংঘ চুক্তি নিয়ে কঠোর সমালোচনা


 

 

ইসলামি শক্তির ঐক্যই হতে পারে নতুন বাংলাদেশের নিরাপত্তা বর্ম

বাংলাদেশের ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে ইসলামি মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিক বিকাশের নিরাপদ ভরসাস্থল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নানা চাপ, বিভক্তি ও মতভেদ দেখা দিয়েছে। এরই প্রেক্ষাপটে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্যকে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তিনি শনিবার রাজধানীতে ‘কওমি মাদ্রাসার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বর্তমান পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে তুলে ধরেন।


ইসলামি ঐক্য—যেখানে স্বার্থ নয়, আকিদাই মূল

হেফাজত আমির বলেন—

“সহিহ আকিদার ওপর প্রতিষ্ঠিত সব ইসলামি দল যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, সেটিই শ্রেষ্ঠ হবে।”

তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামি সুন্নি মূলধারা যেকোনো বিভাজনের চেয়ে বড়—

  • বিদেশি প্রভাব

  • রাজনৈতিক মতবিরোধ

  • মতাদর্শিক বিভ্রান্তি
    কোনোটির কারণেই যেন ইসলামের ক্ষতি না হয়।


মসজিদ-মাদ্রাসার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

তিনি সতর্ক করেন—

“মসজিদ, মাদ্রাসা, দাওয়াত-তাবলিগ, তাসাউফ-সুলুকের শিক্ষা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়— আমাদের সজাগ থাকতে হবে।”

কারণ প্রজন্মের আদর্শিক পথচলা এখান থেকেই শুরু হয়।


বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর অবস্থান

সবচেয়ে আলোচনাযোগ্য বক্তব্য ছিল—
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের চুক্তি বিষয়ে তার কঠোর অবস্থান।

তিনি বলেন—

“এটি আমাদের ইসলামী মূল্যবোধ ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে এক অশনি সংকেত।”

তার দাবি—
✅ এটি বাতিল করতে হবে
✅ দেশে বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা যাবে না
✅ ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে


বিশ্ব মুসলিমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বাংলাদেশে প্রভাব

হেফাজত আমির উল্লেখ করেন—

  • ইসলামফোবিয়া

  • মুসলিম দেশগুলোকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা

  • ধর্মীয় ঐতিহ্যকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা

এগুলো বর্তমানে ভয়াবহ রূপে চলছে।

তিনি বলেন—

“ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সময় আমরা দাঁড়িয়ে আছি। এখন ঐক্য ছাড়া আমাদের পথ নেই।”


দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ধর্মীয় শক্তির ভূমিকা

তিনি মনে করেন—
ইসলামি দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে

  • জাতীয় সংকট নিরসন

  • ধর্মীয় অধিকার রক্ষা

  • শিক্ষার উন্নয়ন

  • সামাজিক নৈতিকতা বিকাশ
    সবক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

তার মতে—
“কওমি মাদ্রাসা এই দেশের মেরুদণ্ড— এটিকে কখনো দুর্বল হতে দেওয়া যাবে না।”

ইসলামি শক্তির ঐক্যই হতে পারে নতুন বাংলাদেশের নিরাপত্তা বর্ম

বাংলাদেশের ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে ইসলামি মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিক বিকাশের নিরাপদ ভরসাস্থল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নানা চাপ, বিভক্তি ও মতভেদ দেখা দিয়েছে। এরই প্রেক্ষাপটে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্যকে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তিনি শনিবার রাজধানীতে ‘কওমি মাদ্রাসার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বর্তমান পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে তুলে ধরেন।


ইসলামি ঐক্য—যেখানে স্বার্থ নয়, আকিদাই মূল

হেফাজত আমির বলেন—

“সহিহ আকিদার ওপর প্রতিষ্ঠিত সব ইসলামি দল যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, সেটিই শ্রেষ্ঠ হবে।”

তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামি সুন্নি মূলধারা যেকোনো বিভাজনের চেয়ে বড়—

  • বিদেশি প্রভাব

  • রাজনৈতিক মতবিরোধ

  • মতাদর্শিক বিভ্রান্তি
    কোনোটির কারণেই যেন ইসলামের ক্ষতি না হয়।


মসজিদ-মাদ্রাসার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

তিনি সতর্ক করেন—

“মসজিদ, মাদ্রাসা, দাওয়াত-তাবলিগ, তাসাউফ-সুলুকের শিক্ষা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়— আমাদের সজাগ থাকতে হবে।”

কারণ প্রজন্মের আদর্শিক পথচলা এখান থেকেই শুরু হয়।


বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর অবস্থান

সবচেয়ে আলোচনাযোগ্য বক্তব্য ছিল—
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের চুক্তি বিষয়ে তার কঠোর অবস্থান।

তিনি বলেন—

“এটি আমাদের ইসলামী মূল্যবোধ ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে এক অশনি সংকেত।”

তার দাবি—
✅ এটি বাতিল করতে হবে
✅ দেশে বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা যাবে না
✅ ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে


বিশ্ব মুসলিমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বাংলাদেশে প্রভাব

হেফাজত আমির উল্লেখ করেন—

  • ইসলামফোবিয়া

  • মুসলিম দেশগুলোকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা

  • ধর্মীয় ঐতিহ্যকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা

এগুলো বর্তমানে ভয়াবহ রূপে চলছে।

তিনি বলেন—

“ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সময় আমরা দাঁড়িয়ে আছি। এখন ঐক্য ছাড়া আমাদের পথ নেই।”


দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ধর্মীয় শক্তির ভূমিকা

তিনি মনে করেন—
ইসলামি দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে

  • জাতীয় সংকট নিরসন

  • ধর্মীয় অধিকার রক্ষা

  • শিক্ষার উন্নয়ন

  • সামাজিক নৈতিকতা বিকাশ
    সবক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

তার মতে—
“কওমি মাদ্রাসা এই দেশের মেরুদণ্ড— এটিকে কখনো দুর্বল হতে দেওয়া যাবে না।”

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম