গণভোট ও নতুন সংবিধানের দাবি—জুলাই সনদের পথে এগোচ্ছে এনসিপি

 জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঘোষণা দিয়েছেন যে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তার দল কোনো নির্বাচনে যাবে না। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, সনদের যেসব ধারা ছাত্রনেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ঐকমত্যে গৃহীত হয়েছে, সেগুলোর বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচন অর্থবহ হবে না। প্রধান উপদেষ্টার কাছে তিনি দাবি জানান, জুলাই সনদের আইনগত কাঠামো তৈরি করে, নির্বাচনের আগে জনগণের গণভোটের মাধ্যমে তা অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলা একাডেমিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরাম (ইউটিএফ)-এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় তিনি বলেন, আগামী সংসদে তরুণ, শিক্ষক, নারী, সংখ্যালঘু ও পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করাই হবে নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো। নাহিদ আরও উল্লেখ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সকল 

 

গণভোট ও নতুন সংবিধানের দাবি—জুলাই সনদের পথে এগোচ্ছে এনসিপি


 

জুলাই সনদই নতুন রাজনৈতিক পথচলার দিশা: নাহিদ ইসলাম

বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিবর্তন ও নতুন গণমানুষের রাষ্ট্র বিনির্মাণের অঙ্গীকারকে আবারও দৃঢ়ভাবে সামনে তুলে ধরলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তার বক্তব্যে উঠে এসেছে—জুলাই সনদই হবে নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভিত্তি, আর সেই সনদ বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত তাদের দল কোনো নির্বাচনমুখী হবে না।


সনদে আপস নয়: জনগণই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎ পথ

সভায় নাহিদ ইসলাম বলেন,

“সনদে কোনো মতভেদের সুযোগ নেই। যে ধারায় জাতি ঐকমত্যে পৌঁছেছে, সেটিই বহাল থাকবে। বাকিটা জনগণই নির্ধারণ করবে।”

এ বক্তব্য থেকে স্পষ্ট—জুলাই সনদ কেবল একটি রাজনৈতিক প্রস্তাব নয়; বরং এটি জনগণের সার্বিক অধিকার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। তিনি মনে করেন, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।


ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আদেশ জারি—এনসিপির অবস্থান স্পষ্ট

নাহিদ ইসলাম পুনর্ব্যক্ত করেন—

“জুলাই সনদের আদেশ অবশ্যই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাধ্যমেই জারি করতে হবে।”

তার মতে, জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে ড. ইউনূসকেই পুরো প্রক্রিয়ার নেতৃত্বে থাকতে হবে, যাতে কোনো দলীয় স্বার্থ নয়—জনগণের সিদ্ধান্তই কার্যকর হয়।


গণভোটই হবে জনগণের রায়

এনসিপি আহ্বায়ক বলেন—

  • নির্বাচনের আগে গণভোট

  • জনগণের অংশগ্রহণে সনদ অনুমোদন

  • এরপরই নির্বাচনের রোডম্যাপ

তিনি জোর দিয়ে বলেন—

“দাবি অনুযায়ী গণভোটই হবে প্রথম অগ্রাধিকার।”


তরুণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে

নাহিদ ইসলাম চান—
✅ তরুণ
✅ শিক্ষক
✅ নারী
✅ সংখ্যালঘু
✅ পেশাজীবী

—সবার সমান উপস্থিতি থাকুক আগামী সংসদে ও রিফর্ম কাউন্সিলে।

তার কথায়—

“জুলাই সনদের চেতনা তখনই বাস্তবে রূপ পাবে, যখন রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে।”


জুলাই অভ্যুত্থানের বীরদের সংসদে আনতেই হবে

তিনি মনে করেন—
জুলাই অভ্যুত্থানে যারা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই ছাত্রসমাজই নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর মূল চালিকাশক্তি। এদের বাদ দিয়ে যে কোনো নির্বাচন হবে জনগণের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান।


শিক্ষকদের ভূমিকা—ইতিহাসে অমর

অভ্যুত্থানে শিক্ষকদের অবদান উল্লেখ করে তিনি বলেন—

  • শিক্ষাখাতকে রাজনৈতিক আনুগত্যের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে হবে

  • মেধা ও ন্যায়ের ভিত্তিতে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে

“ব্যক্তিমন ও সমাজের মানসিক পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ দূর করা সম্ভব নয়।”


ইউটিএফ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরাম (ইউটিএফ)-এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়—

  • আহ্বায়ক: অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম

  • সদস্য সচিব: অধ্যাপক শামীম হামিদ

শিক্ষকরা জানান, তারা নতুন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার রূপান্তরে সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন।


নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম