এবার ও ভারত সরকার মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বৃত্তি দেবে
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার প্রতি বছর মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি দিয়ে থাকে। এ বছর এক হাজার ৪৯৭ জন শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পাচ্ছেন। এর মধ্যে ৫০১ জন উচ্চ মাধ্যমিক ও ৯৯৬ জন স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী।
রোববার (২৭ মার্চ) ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারত ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ শুরু করে। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এ বৃত্তি দেওয়া হয়। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ২৪ হাজার টাকা করে চার বছর মেয়াদে ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বছরে ১০ হাজার টাকা করে দুই বছর মেয়াদে এ বৃত্তি দেওয়া হয়।
কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের ধারাবাহিকতায় এই বৃত্তি অব্যাহত ছিল। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন।
২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে বর্তমান বৃত্তি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। নতুন বৃত্তি প্রকল্পের অধীনে পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
সে সময় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তির পরিমাণ ধার্য করা হয়। এখন পর্যন্ত মোট ১৯ হাজার ৮২ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় বৃত্তি পেয়েছে এবং এ লক্ষ্যে মোট ৪৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
ভারতের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায়, ভারত সরকার ২০২২-২৩ থেকে আরও পাঁচ বছরের জন্য বৃত্তি প্রকল্পটি নবায়ন করেছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সারা বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে ভারত সরকারকে সহযোগিতা করে থাকে। ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি) পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই বৃত্তির টাকা সরাসরি জমা হয়ে থাকে।
সুত্রঃ জাগোনিউজ২৪.কম ২৯ মার্চ