১০০ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবৃত্তিঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বীর মক্তিযোদ্ধার ১০০ জন সন্তান-নাতি-নাতনিদের এনআরবিসি ব্যাংকের সহযোগিতায় ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবৃত্তি’ দিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হাবিবউল্লাহ কনফারেন্স হলে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা শেষে শিক্ষার্থীদের এনআরবিসি ব্যাংকের এটিএম কার্ড তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষাঅনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল মঈন, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল, ভাস্কর আখতার আহমেদ রাশা, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এসময় মুক্তিযুদ্ধের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবৃত্তির আওতায় প্রতিজন শিক্ষার্থীকের ১২ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্তদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাংকের এটিএম কার্ড হস্তান্তর করেন অতিথিরা। প্রতিমাসে ওই এটিএম কার্ড ব্যবহার করে বৃত্তির টাকা উত্তোলন করতে পারবেন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা। বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রদত্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং এটিএম কার্ড ব্যবহার করে সব ধরনের ব্যাংকিং নিতে পারবেন।বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্ব ও অহংকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে আমাদেরকে স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের ঋণ কখনো শোধ করা যাবে না। তাঁদের সন্তান ও প্রজন্মদেরকে এনআরবিসি ব্যাংকের সৌজন্যে বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। এনআরবিসি ব্যাংক সবসময় সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সকল শ্রেণী পেশার মানুষদের পাশে দাঁড়িয় দেশব্যাপী কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের কল্যাণে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের এ ধরনের উদ্যোগের পাশে আমরা সবসময় থাকবো।এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, জাতির পিতা ও স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। সেই বীরদের অবদান জাতি কখনো পরিশোধ করতে পারবে না। তাদের স্বজনদের পাশে দাঁড়াতে পেরে এনআরবিসি ব্যাংক গর্বিত। আমরা চাই আগামীর বাংলাদেশকে পরিচালনার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা যোগ্য হয়ে গড়ে উঠুক। আর্থিক সংকটের কারণে কোন একজন যেন ছিটকে না পড়ে সেটি দেখার দায়িত্ব আমাদের। স্বাধীনতা লক্ষ্য অর্জনে এনআরবিসি ব্যাংক সবসময় সবখানে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।তিনি আরও বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে দেশের মানুষের কল্যাণে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে আমরা আজ ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মদেরকে একবছর ব্যাপী শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের সূচনা করলাম। ভবিষ্যতে আমরা আরো অনেক শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াবো। একটি ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে এনআরবিসি ব্যাংক প্রান্তিক মানষকে নিয়ে কাজ করছে।এক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত যুবদের বিনাজামানতে ঋণ দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা তৈরি এবং অধিক পরিমানে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি চালু করেছে। এনআরবিসি ব্যাংক করোনা মহামারির সময়েও শিক্ষার্থীদের সহায়তায় বৃত্তি প্রদান করেছে; যা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের সন্তান ও প্রজন্মদেরকে বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অনেক গর্বিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ জন মেধাবী শিক্ষার্থী এই বৃত্তির প্রাপ্তির মাধ্যমে অনেক উপকৃত হবেন। এধরণের শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মকাণ্ডে এনআরবিসি ব্যাংকের সহযোগিতা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এনআরবিসি ব্যাংকের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এনআরবিসি ব্যাংকের মতো প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।